রসনাপ্রিয় বাঙালির খাবারের তালিকায় রয়েছে নানান পদ। এর মধ্যে খিচুড়ি অন্যতম একটি খাবার। আবহমানকাল ধরে চিরায়ত বাংলার প্রায় সবার পছন্দের খাবার খিচুড়ি ঐতিহ্যকে বিশেষভাবে তুলে ধরতে ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমধর্মী খিচুড়ি উৎসব।

শনিবার দুপুরে শহরতলির কমলাপুর এলাকার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনের খোলা মাঠে ফরিদপুর খিচুড়ি উদযাপন কমিটির আয়োজনে শুরু হয় এ উৎসব।

দুপুরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রথম খিচুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিপক কুমার রায়।

এ সময় প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর এমএ সামাদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর এবিএম সাত্তার, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর মো. আলতাফ হোসেন, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মো. ইমরান হোসেন, ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক পান্না বালা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজ-ই কবির খোকন, অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী, আসমা আক্তার মুক্তা, খিচুড়ি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. নুরুল ইসলাম, সদস্য সঞ্জিব দাস, মো. রুপম, লিটন মল্লিক, লাবু বিশ্বাস, মাহবুব হাসান তুষার, সুমন হোসেন ঝিন্টু, খন্দকার রেজাউল ইসলাম চয়ন, শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী নিঝুম, মিজানুর রহমান বিশ্বাস টুটুল, নাবলু পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান জুয়েল, মো. ওয়াহিদুজ্জামন, হাসিনা মমতাজ লাভলী, মো. পাশা, আবু নাসির আলম, মাহবুব হোসেন পিয়ালসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

খিচুড়ি উৎসবে দুপুর থেকেই বিভিন্ন বয়সী নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ আসতে থাকেন খিচুড়ির স্বাদ গ্রহণ করতে। একটি পর্যায়ে খিচুড়ি উৎসবের মেলার মাঠটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মেলা কমিটি ও খিচুড়ি স্টলে আসা নারীরা তাদের তৈরি খিচুড়ি দর্শকদের হাতে তুলে দেন বিনাপয়সায়।

উৎসবে ১৬টি খিচুড়ি স্টল তাদের খিচুড়ির পসরা নিয়ে বসে। আর এর ভিতর থেকে বিচারকদের মতামতের ভিত্তিতে মাটির হাঁড়িতে তৈরি মুন রুমি রহমানের খিচুড়ি সেরা রাঁধুনির পুরস্কার লাভ করে।

পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে দেশীয় গানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ব্যতিক্রমধর্মী খিচুড়ি উৎসব এখন থেকে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ শনিবার ব্যাপক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটি।